This file is indexed.

/usr/share/stellarium/skycultures/mongolian/description.bn.utf8 is in stellarium-data 0.15.0-1.

This file is owned by root:root, with mode 0o644.

The actual contents of the file can be viewed below.

 1
 2
 3
 4
 5
 6
 7
 8
 9
10
11
12
13
14
15
16
17
18
19
20
21
22
23
24
25
26
27
28
29
30
31
32
33
34
35
36
37
38
39
40
41
42
43
44
45
46
47
48
49
50
51
52
53
54
55
56
57
58
59
60
61
62
63
64
65
66
67
68
69
70
71
72
73
74
75
76
77
78
79
80
81
82
83
84
85
86
87
88
89
90
91
92
93
94
95
<h2>মোঙ্গোলীয়</h2>

<p>মোঙ্গলীয় মন্ডল ও জ্যোতিষ আলেকজান্ডারের সমকালীন পশ্চিমী জ্যোতিষ থেকে অনুসৃত হয়েছে । তাছাড়া নানা মোঙ্গল রূপকথা ও কিংবদন্তী গুলি অনুধাবন করলে সেগুলিতে চৈনিক সভ্যতা ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রগাঢ় প্রভাব লক্ষ্য করা যায় ।  মোঙ্গলীয় জ্যোতিষের ক্ষেত্রে স্থানীয় জীব জগৎ প্রাধান্য পেয়েছে । প্রাচীনকালে ঋতু অনুযায়ী তাদের একজায়গা থেকে আরেক জায়গায় প্রায়ই যেতে হত । মোঙ্গলদের জ্যোতিষর পিছনে এটিকেই অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয় ।</p>

<h3> নক্ষত্রমন্ডল </h3>

<p> তারাদের মোঙ্গল নামগুলি কোনো না কোনো পশুকে নির্দেশ করে এবং সেগুলি ধ্রুবতারার দিকে মুখ করে থাকে । ধ্রুবতারাকে মোঙ্গলরা একটি সোনার লাঠি (<em>আলঠান হাদাস</em>) হিসাবে কল্পনা করে থাকে । এছাড়া সারস মন্ডলকে <em>নুম সুম</em> (তীর ধনুক) কিংবা সপ্তর্ষি বা ভল্লুক মন্ডলকে <em>দোলুন বুরখান</em> নামে ডাকা হয় । আবার গ্রীষ্মকালীন ত্রিভূজটির তিনটি তারা (অভিজিৎ, ডেনেব ও শ্রবণা) তিনটি হরিনকে (মোঙ্গল ভাষায় <em>গুরওযান মারাল ওড</em>) এবং ক্যাসিওপিয়ার পাঁচটি তারা পাঁচজন তরুনীকে (মোঙ্গল ভাষায় <em>হান তেভান ওড</em>) চিত্রিত করে ।</p>

<h3> গ্রহ এবং নক্ষত্র </h3>

<p> মূল তীব্বতীয়-মোঙ্গল জ্যোতিষচর্চায় খালি চোখে দৃশ্যমান পাঁচটি গ্রহের নামই শুধু পাওয়া যায় (কারন অনেক পরে দূরবীন আবিষ্কার হয়েছে) । মোঙ্গলরা পাঁচটি গ্রহের নামে সপ্তাহের পাঁটি দিনের নাম রেখেছে, আর বাকি দুটি নাম রেখেছে সূর্য বা (<em>নার</em>) থেকে রবিবার ও চাঁদ বা (<em>সার</em>) থেকে সোমবার । বুধ গ্রহকে <em>বুদ</em> (যা থেকে বুধবার এসেছে), শুক্র গ্রহকে <em>শুগর</em>
(যা থেকে শুক্রবার এসেছে), পৃথিবীকে <em>দেলখি</em>, মঙ্গল গ্রহকে <em>অ্যাঙ্গারাগ</em> (যা থেকে মঙ্গলবার এসেছে), বৃতস্পতি গ্রহকে <em>বরহসবদি</em> (যা থেকে বৃহস্পতিবার এসেছে), শনি গ্রহকে <em>সানচির</em> (যা থেকে শনিবার এসেছে), ইউরেনাস কে <em>তেনজেরিন-ভ্যান</em>, নেপচুন কে <em>দালাই-ভ্যান</em> ও at প্লুটো কে <em>দালখি-ভ্যান</em> নামে ডাকা হয় । শেষের তিনটি গ্রহের অনেক পরে আধুনিক যুগে নামকরন করা হয়েছে । লক্ষ করলে দেখা যাবে যে এগুলির নাম শেষ হচ্ছে <em>-ভ্যান</em> নামক শব্দ দিয়ে, যা গ্রহগুলিকে স্বর্গীয় তকমা প্রদান করে । প্লুটোর নাম পৃথিবীর নামেই রাখা হলেও সেটিকে স্বর্গীয় তকমা দেওয়া হয়েছে, ফলে প্লুটো কথার মোঙ্গলীয় অর্থ দাঁড়ায় "স্বর্গীয় ভূমি" । ইউরেনাস বা <em>তেনজেরিন-ভ্যান</em>, যার অর্থ "স্বর্গীয় আকাশ", এবং নেপচুন বা <em>দালাই-ভ্যান</em>, যার অর্থ "স্বর্গীয় সাগর" । সত্যি বলতে নামগুলির ইংরাজী কোনো সমার্থক নেই, অনুদিত নামের ক্ষেত্রে মূল অর্থটিকে প্রকাশ করার চেষ্টা করা হয়েছে । লক্ষনীয় যে বেশিরভাগ নামই সংস্কৃত ভাষা (ভারতে প্রচলিত) থেকে নেওয়া  এবং এটি মোঙ্গোলিয়ার আধিকারিক ভাষা না হলেও এটি সেখানকার লোকেদের মধ্যে বহুল প্রচলিত ।</p>

<p> মোঙ্গলদের বিশ্বাসের সাথে এই নামগুলি ওতপ্রত ভাবে জড়িয়ে আছে । এমনকি তারা মনে করে যে <em>ঠেনজারিন জাদাস</em> (আক্ষরিক অর্থে আকাশের রেখা) ছায়াপথ সৃষ্টি করেছেন । <em>ঠেনজারিন</em> কথার অর্থ আকাশ বা আকাশের দেবতা এবং <em>জাদাস</em> কথার অর্থ রেখা । এছাড়া ভল্লুক মন্ডল বা ভারতীয় সপ্তর্ষি মন্ডলের অরন্ধতি তারাটি (বশিষ্ট তারার খুব কাছে) মোঙ্গলদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কারণ স্বর্গের দেবতা <em>ঠেনজারিন</em> এটিকে রক্ষাকারী হিসাবে নিযুক্ত করেছেন । মোঙ্গলদের কাছে এটি সুস্থতা ও প্রতিকারের তারা । চেঙ্গিস খানের আমলে (ত্রয়োদশ শতকে) এই তারা দুটিকে খালি চোখে দেখতে পারলে তবেই কেউ ধনুর্বাজ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করত ।</p>

<p> ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে, সমস্ত কৃতিত্বই পাওনা <em>উলুগ বেগ</em> (1394-1449 খ্রীঃ; প্রকৃত নাম <em>তারেঘ</em>) এর । যিনি একাধারে সমরখন্দের শাসক সাথে সাথে একজন বড় মাপের গণিতজ্ঞ ও জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ছিলেন । তাঁর সাম্রাজ্য মধ্য এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল । তিনি খুব সূক্ষ্য ভাবে বিভিন্ন মহাজাগতিক ঘটনা ও জ্যোতিষ্কগুলির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন । তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি সঠিক ভাবে শনিগ্রহ বা <em>সানচির</em> এর বার্ষিক গতির সময় নির্ধারণ করেছিলেন ৪০মিটার ব্যসার্ধের একটি সেক্সট্যান্ট ব্যবহার করে । </p>

<h3> রূপকথা ও কিংবদন্তী </h3>

<h4>বৃহৎ ভল্লুক বা সপ্তর্ষী মন্ডল</h4>
<p> মোঙ্গলদের কাছে এই মন্ডলটি খুবই বিখ্যাত, বিশেষ করে এটি সম্পর্কিত কিংবদন্তী ও রূপকথাটির জন্য ।</p>

<blockquote><p>অনেক দিন আগের কথা, সে সময় আটজন অনাথ ভাই ছিল যারা অসামান্য ক্ষমতার অধিকারী । একদিন তাদের রাজ্যে এক দৈত্য এসে রানীকে ধরে নিয়ে চলে যায় । রাজার কাছে তখন আট ভায়ের ডাক পড়ল । রাজা বললেন যে তাঁর রানীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসবে তাকে একটা সোনার তীর উপহার দেবেন । এরপর আটভাই বেরিয়ে পড়ল রানীকে খুঁজতে । তিনদিন পর রাতের বেলা তারা দৈত্যকে খুঁজে পেল, আর তাকে হত্যা করে রানীকে রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে এল । </p><p> কিন্তু একটা তীর আটজন কিভাবে নেবে । তাই তারা ঠিক করল যে তীরটাকে তারা আকাশে ছুঁড়ে দেবে, আর যে সেটাকে প্রথমে লুফে নেবে তীরটি তার হয়ে যাবে । খেলা শুরু হল । ছোটো ভাই তীরটা লুফে নিয়ে সেটা নিজের করে নিল । সাথে সাথে ছোটোভাই ধ্রুবতারা ও বাকি সাতজন মন্ডলের সাতটি তারা রূপে সিদ্ধপুরুষ বা বুদ্ধে পরিনত হলেন ও তাঁরা <em>দোলুন বুরখান</em> (সপ্তবুদ্ধ) নামে প্রসিদ্ধি লাভ করলেন । এই কিংবদন্তী থেকেই ভল্লুক মন্ডল ও <em>আলঠান হাদাস</em> বা ধ্রুবতারা  নামকরণ এসেছে ।</p></blockquote>

<p> মোঙ্গল রীতি অনুযায়ী ভল্লুক মন্ডলের কোনো না কোনো একটি তারার সাথে প্রাত্যেকের একটি নিগূঢ় সম্পর্ক আছে । এটা চৈনিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কারো জন্ম বছরের উপর নির্ভর করে । চৈনিক ও মোঙ্গল ক্যালেন্ডার প্রায় একই (মোঙ্গল ক্যালেন্ডারও চাঁদ নির্ভর) ।  প্রত্যেক বছরকে একটি প্রানীর রূপ দেওয়া হয় ও তা একটি তারার সাথে যুক্ত । যেমন - ১ম তারা  ক্রতু মুষিক বছরের সূচক, ২য় তারা পুলহ বৃষ বছরের সূচক, এই ভাবে শেষ তারা মারিচী অশ্ব বছরের সূচক ।  এরপর আবার ১ম তারা, তবে এবার তা ভেঁড়া বছরের সূচক । এই ভাবে একে একে বার বছরের চক্র শেষ হয় । এর ফলে শেষের দুটি তারা কেবলমাত্র একটি বছরের সূচক ও বাকিগুলি দুটি করে বছরের সূচক ।</p>

<p>[G. Zotti কর্তৃক সংযোজন: এটি <em>Elverskog</em> প্রবর্তিত প্রাচীন সপ্ত বুদ্ধ সূত্র এর পরিমার্জিত রূপ । তবে এখানে তারার নামকরন উপর থেকে নীচের দিকে করা হয়েছে । অর্থাৎ ক্রতু তারা/মুষিক, পুলহ তারা/বৃষ,
... বশিষ্ট তারা/সর্প, মারিচী তারা/অশ্ব, ক্রতু/ভেঁড়া, ... আঙ্গিরা/বরাহ.]</p>

<img src="doloon_burkhan.png" width="550">

<h4>উল্কাপাত</h4>

<p> মোঙ্গলদের কাছে উল্কাপাতেরও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব আছে । মোঙ্গলরা মনে করে মানুষের মৃত্যুর কারনে আকাশ থেকে তারা খসে পড়ে । পশ্চিমী সমাজে যেখানে উল্কাপাত দেখে মনে মনে আকাঙ্খা পোষন করে, সেখানে মোঙ্গলরা বলে : "ভাগ্যিস এটা আমি নই " ।</p>

<h4>উপেক্ষিত কিছু রূপকথা </h4>

<p> এগুলি ছাড়াও আরও তিনটি কিংবদন্তী আছে যেগুলি সূর্য, গ্রহণ ও <em>হান তেভান ওড</em> বা ক্যাসিওপিয়া মন্ডল সম্পর্কিত, তবে এগুলি বেশিরভাগ মোঙ্গলরাই আজ জানে না । এগুলি হল : </p>

<h5>সূর্য</h5>

<blockquote><p> পৃথিবীর আদিকালে সেখানে শুধু একজন লোকই ছিল । আর ছিল শুষ্ক তৃণভূমি ও সাতটি সূর্য । একদিন সাতটি সূর্যের তেজে এই তৃণভূমি পুড়ে ছাই হয়ে যায় । দুঃখে লোকটি প্রতিজ্ঞা করে যে সে তীর ছুঁড়ে ঐকে একে সব সূর্য ধ্বংশ করে দেবে নইলে সে তার হাতের সব আঙুলগুলো কেটে গর্তের মধ্যে সারা জীবন কাটাবে। যেমন ভাবা তেমনি কাজ । সে তীর ছুঁড়ে একে একে ছটি সূর্য ধ্বংশ করে দেয় । কিন্তু সাত নম্বর তীরটি সূর্যের দিকে যাওয়ার সময় মাঝখানে একটি আবাবিল পাখি চলে আসার কারণে সূর্যটি রক্ষা পায় । এরপর সে তার হাতের আঙুলগুলো কেটে ফেলে । সাথে সাথে সে একটা মুষিকে পরিণত হয় ও তারপর থেকে সারা জীবন গর্তে বসবাস করতে থাকে । এই আবাবিল পাখিটির জন্যই সূর্য বেঁচে যায় ও পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ সম্ভব হয়েছে ।</p></blockquote>

<p> মোঙ্গল জ্যোতিষে অন্যান্য বিজোড় সংখ্যার মতই সাত সংখ্যাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বৌদ্ধ মতে এটি ভাল ভাগ্যের প্রতীক ।</p>

<h5>গ্রহণ</h5>


<blockquote> <p>অনেক দিন আগের কথা, সে সময় <em>রা</em> নামে এক ভয়ানক রাক্ষস ছিল । তার কাছে যে যেত তাকেই সে খপ করে গিলে নিত । এদিকে ভগবান <em>অরকাইওয়ানি</em> এর কাছে এক জাদু পানীয় ছিল, যা খেলে অমরত্ব লাভ করা যায় । একথা শুনে <em>রা</em> সেটি চুরি করে এবং খেয়ে নেয় । কিন্তু সূর্য ও চাঁদ সেটা দেখতে পেয়ে ভগবান অরকাইওয়ানিকে জানিয়ে দেয় । একথা শুনে ভগবান রেগে রাক্ষস নিধন করতে চলে  যান । তিনি রাক্ষের মাথা যতবারই কাটেন ততবারই তা আবার নতুন করে গজিয়ে ওঠে । এরপর তিনি লেজটি কেটে দেবেন বলে ঠিক করলেন এই ভেবে যে লেহ কাটার পর জাদুপানীয় রাক্ষসের পিছন দিয়ে বেরিয়ে যাবে ও অমরত্ব হারাবে । কিন্তু <em>রা</em> তার আগেই পালিয়ে গিয়ে চাঁদ ও সূর্যের মাঝে লুকিয়ে পড়ে । তবে শেষমেষ তাকে ধরা পড়তেই হয় চাঁদ ও সূর্যের হাতে । আার সেইসঙ্গে তার লেজটিও কাটা যায় । এর ফলে চাঁদ ও সূর্যের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য <em>রা</em> মাঝে মাঝেই তাদের গিলে খেতে আসে, আর তাদের গ্রহণ ঘটায় ।</p></blockquote>


<p>তাই গ্রহণ ঘটলে মোঙ্গলরা তারস্বরে ঢাল ঢোল বাজিয়ে আওয়াজ করতে থাকে যাতে <em>রা</em> ভয় পেয়ে চাঁদ ও সূর্যকে ছেড়ে দেয় । ত্রয়োদশ শতকে Guillaume de Rubruck লিখেছেন:</p> 

<blockquote><p>"সেখানকার অনেকেই [মোঙ্গল] গণনা করে গ্রহণের পূবার্ভাস দিতে জানত [অন্যান্যদের] । এই সময়ের তারা খাদ্য মজুদ করে রাখত, কারণ এইসময় নাকি বাইরে কোথাও যেতে নেই । আবার গ্রহণের সময় তারস্বরে নানা বাদ্যযন্ত্র বাজাত ও তারস্বরে চিৎকার করত । গ্রহণ শেষে বিশাল আনন্দ উৎসব ও ভোজের আয়োজন করা হত ।"</p></blockquote>

<p>(তথ্যসূত্র: Jean-Paul Roux (ফরাসী) রচিত বই <em>Les astres chez les Turcs et les Mongols</em> । <em>Revue de l'histoire des religions</em>, tome 195 n°2,
1979. pp; 153-192.) </p>

<p>২০০৮ সালে সেখানে গ্রহণ দেখতে গিয়ে পর্যটকেরা আচার বিচার সংক্রান্ত ঘটনাগুলি দেখেছিলেন এবং সেগুলো পর্যটকদের দেখানোর জন্য লোকদেখানো ছিল না । সবশেষে একটি উল্লোখ্য বিষয় যে, এই <em>রা</em> রাক্ষসের ঘটনার সাথে ভারতের <em>রাহু</em> রাক্ষসের ঘটনার অদ্ভুত মিল দেখা যায় ।</p>

<h5>ক্যসিওপিয়া মন্ডল (<em>হান তেভান ওড</em>)</h5>

<p>ক্যসিওপিয়া মন্ডল (<em>হান তেভান ওড</em>) মোঙ্গলদের কাছে ঐক্য, সংহতি ও ভাতৃত্ববোধের প্রতীক । এই মন্ডলের পাঁচটি তারা চেঙ্গিস খানের স্ত্রী আওলিনের পাঁচ পুত্রের একতার নিদর্শণ ।<p>

<blockquote><p>এই পাঁচ ভায়ের মধ্যে কোনো বনিবনা ছিল না, তারা সবসময় ঝগড়া করত । তাদের ভবিষ্যত দেখার জন্য একদিন তাদের মা তাদেরকে পাঁচটা দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিল । যদি তারা গিঁট খুলে ফেলে তাহলে তারা ভবিষ্যতে কখনই এক হতে পারবে না, কিন্তু না পারলে তারা সকল বাঁধা একসাথে পার করে সারাজীবন আনন্দে কাটাবে ।</p></blockquote>


<h4> অন্যান্য কিছু বিশ্বাস</h4>

<p>এক মোঙ্গল কিংবদন্তী অনুযায়ী, এক মহিলা তার হবু স্বামীর স্বপ্নের জন্য আকাশের একশ তারা গুনেছিল ।<p>

<p> কখনও মোঙ্গলরা বল্লুক মন্ডলের (<em>দোলুন বুরখান</em>) দিকে দুধ ছুঁড়ে একে সম্মান দেখিয়ে থাকে । দুধের সাদা রং পবিত্রতার প্রতীক হিসাবে দেখা হয় । তারা সমগ্র জাতির জন্য মঙ্গল প্রার্থনা করে, কারন তারা মনে করে যে কোনো একনের জন্য প্রার্থনা করা দুর্ভাগ্য নিয়ে আসে । আবার দূধের বদলে ভদকা ব্যবহার করলে শক্তি বৃদ্ধি হয় । যদিও এটি বর্ণহীন তাও এটিকে কালোরূপে দেখা হয়ে থাকে । এটি দুর্ভাগ্য, ঝগড়া, ভয় দূর করে ।</p>


<h3> উপসংহার</h3>

<p> মন্ডলগুলিতে পশ্চিমী প্রভাব থাকলেও এখানে নানা রূপকথা সহ মোঙ্গল জ্যোতিষের পুর্নাঙ্গ রূপটি তুলে ধরা হয়েছে । মোঙ্গল জ্যোতিষের বেশির ভাগই মৌখিক এবং লিখিত প্রমান খুবই কম । এর ফলে সূক্ষবাবে সঠিক প্রতিরূপ গঠনকরা খুবই দুরূহ ব্যাপার । এব্যাপারে যে কোনোরকম পরামর্শই সাদরে গ্রহন করা হবে ।</p>

<h3>কৃতজ্ঞতা স্বীকার ও বিবিধ</h3>

<ul> 
<li>বেয়ারলালা (ধন্যবাদ) সমস্ত মোঙ্গলীয়দের, তাদের মহাকাশ চর্চা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ এইসব তথ্য সংগ্রহে আমাদের বিশেষভাবে সাহায্যের জন্য ।</li> 
<li><a href="http://uranoscope.free.fr" class='external text' title="http://uranoscope.free.fr" rel="nofollow">L'Uranoscope de France</a></li>	
<li><a href="http://www.afanet.fr" class='external text' title="http://www.afanet.fr" rel="nofollow">
	   L'Association Française d'Astronomie / The French Astronomy Association</a></li>	
<li><a href="http://www.outofnowhere.asia" class='external text' title="http://www.outofnowhere.asia" rel="nofollow">OutOfNowhere</a></li>
<li><a href="https://journals.ub.uni-heidelberg.de/index.php/jiabs/article/download/8974/2867">Johan Elverskog: The Mongolian Big Dipper Sutra. </a> Journal of the International Association of Buddhist Studies 29 Nr1 2006(2008), pp87-123.</li>
</ul>

<h3> প্রস্তুতকারক </h3>

<p> এটি প্রস্তুত করেছেন 
<strong>Anthony Lagain</strong> (anthony.lagain(at)gmail.com) এবং <strong>Batiste Rousseau</strong> (batiste.rousseau(at)gmail.com), তাঁদের ২মাস মোঙ্গোলীয়া ভ্রমনের সময় শোনা নানা রূপকথা ও কিংবদন্তী অবলম্বনে । বিশদে জানতে দেখুন: 
<a href="http://souslecieldemongolie.wordpress.com/" class='external text' 
title="http://souslecieldemongolie.wordpress.com/" rel="nofollow">www.souslecieldemongolie.wordpress.com</a> (ফরাসী ভাষায়). </p>